ইমরান আল মাহমুদ:
কক্সবাজারের উখিয়ার রাজাপালং হরিণমারা এলাকায় সংরক্ষিত বনভূমি ধ্বংসকারীদের দৌরাত্ম্য যেনো থামছেনা। বনবিভাগের চোখ ফাঁকি দিয়ে সুকৌশলে প্রতিনিয়ত চলে অবৈধভাবে মাটি পাচার,বালি পাচার ও,কাঠ পাচার সহ স্থাপনা নির্মাণ। মাটি,বালি ও কাঠ পাচারের কাজে ব্যবহার করা হয় ডাম্পার গাড়ি। বেপরোয়া গতির অবৈধ ডাম্পারে বিগতদিনে সড়কে প্রাণ দিতে হয়েছে অনেক ছোটবড় নারী পুরুষকে। কিন্তু তবুও থামছেনা পরিবেশ ধ্বংসের কর্মযজ্ঞ। সাবাড় করছে সংরক্ষিত বনভূমি।
সোমবার রাত দেড়টার দিকে অবৈধভাবে মাটি পাচারের খবর আসে বনবিভাগের কাছে।
গভীররাতে হরিণমারা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে বনবিভাগ। উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা গাজী শফিউল আলমের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করে অবৈধভাবে মাটি পাচারের কাজে ব্যবহৃত ১টি ডাম্পার জব্দ করা হয় এবং দুজনকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো,রাজাপালং পশ্চিম হরিণমারা নাপিত্তার ঘোনা এলাকার মৃত সোনালীর ছেলে সাইফুল ইসলাম(৩০) ও দক্ষিণ হরিণমারা এলাকার আবুল মনজুরের ছেলে মো. শাহিন(১৯)। হরিণমারা এলাকায় অভিযান শেষের পর বনবিভাগের কাছে খবর আসে অবৈধভাবে কাঠ পাচার করছে পাচারকারীরা। এমন সংবাদের ভিত্তিতে বালুখালী কাস্টমস এলাকায় অবস্থান নিয়ে টহল জোরদার করে বনবিভাগ। ভোরে অবৈধ কাঠবোঝাই একটি ডাম্পার জব্দ করা হয়।
অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করে উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা গাজী শফিউল আলম জানান,” গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দিবাগত রাতে রাজাপালং হরিণমারা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ১টি ডাম্পার জব্দসহ দুজনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। ভোরে আরও একটি অভিযান পরিচালনা করা হয় অবৈধ কাঠ পাচারের খবরে। এসময় বালুখালী কাস্টমস এলাকা থেকে অবৈধ কাঠবোঝাই একটি ডাম্পার জব্দ করা। পাচারকারীদের বিরুদ্ধে বনবিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে। হরিণমারা এলাকা থেকে গ্রেফতার দুজন সহ মো. জামালকে পলাতক আসামি করে মামলা দায়ের ও ডাম্পার জব্দের পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান তিনি।”
অভিযানে দোছড়ি বিট কর্মকর্তা রাকিব হোসেন, উখিয়া সদর বিট কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদ, রাজাপালং বিট কর্মকর্তা মো. মনিছুর রহমান ও ভিলেজার সহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-